এবার চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঙ্গে একটি সিনেমায় জুটি বেঁধে কাজ করতে বাংলাদেশে আসেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কক্সবাজারে সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি। সেখানে বেশ কয়েকদিন ব্যস্ত সময় পার করে কলকাতায় ফিরে গেছেন সায়ন্তিকা। তবে এই নায়িকা ওপার বাংলায় ফিরে যেতেই শোনা যাচ্ছে, নৃত্যু পরিচালক মাইকেল ও প্রযোজক মনিরুল ইসলামের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে দেশ ছেড়েছেন তিনি।
এমনকি, ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার বাকি থাকা শুটিংয়েও নাকি আর অংশ নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘প্রযোজকের সঙ্গে সায়ন্তিকার কিছু বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থাকতে পারে। তবে আমি মনে করি, সে খুবই ‘প্রফেশনাল’ একজন অভিনেত্রী। যেভাবে ভালো হয় সেভাবেই বিষয়গুলো সমাধান করে সিনেমার বাকি থাকা অংশের কাজও শেষ করবেন।’
যদি প্রযোজক ও নায়িকার মধ্যকার সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে সিনেমার কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ বলেন- ‘১৫ বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আমার। এমন অনেক ছবিই হয়েছে, যেগুলোর শুটিংয়ের কাজ শেষ হলেও পর্দায় আর মুক্তি পায়নি। আবার অনেক ছবির শুটিংই মাঝপথে আটকে গেছে। প্রথমদিকে এসব নিয়ে ভাবলেও এখন আর ভাবি না।’
সায়ন্তিকা ওপার বাংলায় ফিরে যাওয়ায় জায়েদ খানকে জড়িয়েও নানা ধরণের আলোচনা চলেছে। তাদের দু’জনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের গুঞ্জনও রটেছে। এ বিষয়গুলোকে নিজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখেন এই নায়ক। জায়েদ বলেন,‘একদল লোক সবসময়ই জায়েদ খানের খোঁজ রেখে বেড়ায়। জায়েদ কোথায় যাচ্ছে, কখন কি করছে- এসবই জানার চেষ্টা করে। তারা কখনোই চায় না আমি ভালো কিছু করি। সেই শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই আমার সঙ্গে এসব ঘটছে।’
জায়েদ আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যদি তারা জানতে পারত- সায়ন্তিকা বাংলাদেশে এসে আমার বিপরীতে সিনেমায় কাজ করবে, তাহলে কোনোভাবেই তাকে বাংলাদেশে আসতে দিত না। যেমনটা শ্রাবন্তীর ক্ষেত্রেও ঘটেছিল।’ প্রসঙ্গত, গত ৩০ আগস্ট ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। তখন তাকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন জায়েদ খান। এরপর তারা উড়াল দেন কক্সবাজারের উদ্দেশে। সেখানে আট দিন শুটিং করে গত ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ফিরে যান সায়ন্তিকা।